তীব্র রোদ ও ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে হাতপাখার চাহিদা বেড়েছে

রোদের তীব্র রোদ এবং ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ভ্যাপসা গরমের সাথে দিন এবং রাতের লোডশেডিংয়ে চারিদিকে একটু স্বস্তির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। ফ্যান ঘুরছে না। ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিংএ আইপিএস চার্জ হতে পারছে না। দিনে তো বটেই রাতের ঘুম হারাম হওয়ায় হাঁসফাঁস করা গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এমন গা ঘামা পরিস্থিতিতে গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেক দিনের দোকানে ও ঘরের কোনে অনাদরে পড়ে থাকা হাতপাখার কদর বেড়েছে। হাত পাখার বাতাসে তপ্ত হয়ে ওটা শরীরটাকে শীতল করছে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ।
তাই তিনটি ঘরের জন্য একটা করে হাত পাখা নিতে এসেছি। কারেন্ট চলে গেলে বাতাস করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে। প্রতিটি পাখার দাম পড়েছে ৫০ টাকা করে। তার মতই তাল পাতার হাতপাখার খোঁজ করছিলেন সাজু মন্ডল। বললেন, বাড়িতে অসুস্থ মা আছে। কারেন্ট থাকে না।
বগুড়ার চুড়িপট্টি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সাথে পাখা বিক্রি হয় সিরাজ স্টোরে। এই স্টোরের স্বত্তাধিকারী পিয়াল জানান, গরম সহনীয় হয়ে আসায় আগামি বছরের জন্য পাখাগুলো বেধে তুলে রেখেছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম আর ভয়াবহ লোডশেডিং এ ক্রেতারা পাখা কিনতে আসছেন। দিনে ৩০ থেকে ৪০টা পাখা বিক্রি হচ্ছে।
দাম বাড়েনি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এভাবে পাখা বিক্রি বাড়লে কাহালুর আলোড়া থেকে আরও পাখার যোগান আনতে হবে। তবে শহরের তুলনায় গ্রামের অবস্থা আরও ভয়াবহ। দিনরাতের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুত থাকে না। আর তাই গ্রামেই হাতপাখার কদর সবচেয়ে বেশি।
হাটে বাজারসহ ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে করে নানা ধরনের নানা ডিজাইনের তাল পাতার পাখা, রঙিন সুতার পাখা, রঙিন কাপড়ের পাখা বিক্রি হচ্ছে। দাম ৩০ থেকে ১০০ টাকা।